ফেসবুক ও টুইটারের বিকল্প Mastodon, ইন্সটাগ্রামের বিকল্প Flickr, হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প Bip, ইউটিউবের বিকল্প Vimeo, গুগলের বিকল্প Bing, ই-মেইলের বিকল্প ProtonMail।
এদের একটাও ইহুদি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নয়। Matsodon জার্মানভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। Bip মুসলিম দেশ তুরস্কভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ProtonMail সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
হোয়াটসঅ্যাপের আরেকটি বিকল্প হলো Alaap, যা বাংলাদেশিদের তৈরি।
এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্বের অনেক দেশেই ব্যবহৃত হয়। যদিও ফেসবুক, ইউটিউব বা গুগলের ধারেকাছেও এরা নেই। একই কথা মোজোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। স্বাদে, মানে ও গুণে মোজো কোকাকোলার ধারেকাছেও নেই।
আমরা যদি কোকাকোলার বিকল্প হিসেবে মোজোকে গ্রহণ করতে পারি তাহলে তাহলে ফেসবুক, ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও ব্যবহার করতে পারবো। হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে Alaap তো আনন্দের সাথে ব্যবহার করা উচিত।
একটা সরল হিসেব করুন। বাংলাদেশের কতজন লোক প্রতিদিন কোকাকোলা খায়, আর কতজন লোক প্রতিদিন ফেসবুক, ইউটিউব চালায়? এখন সিদ্ধান্ত আপনার, গণহত্যার সহযোগী হিসেবে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবেন নাকি এসব বয়কট করবেন? বিকল্প সবকিছুই আছে, প্রয়োজন শুধু স্বদিচ্ছা।
আরিফ ইশতিয়াক রাহুল, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।