বিশেষ প্রতিবেদন
একসময় ছিল ক্যারিয়ার নিয়ে প্রচণ্ড হতাশা৷ পরিবারের কাছেও শুনতে হতো কটু কথা। বন্ধুবান্ধব, আশেপাশের মানুষদের কাছে পেতেন না যথাযথ মূল্যায়ন৷ যেন অকর্মার ঢেকি হিসেবে বড়ই রসকষহীন জীবন কাটাতে হতো আজকের সফল ফ্রিল্যান্সার অপূর্ব ইসলামকে (২৪)। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে যার সর্বোচ্চ আয় ১৫ দিনে ১৫ লাখ টাকা।
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা অপূর্ব ইসলাম। উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর দেননি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। হতাশা যখন ভর করেছিল তখনই জীবনযুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন ফ্রিল্যান্সিং। ইউটিউব ও গুগলের সহায়তায় শেখেন ডিজিটাল মার্কেটিং ও সিপিএ মার্কেটিংয়ের টুলস বিক্রি।
২০২৩ সালের প্রথমদিকে ৪০০ ইউএস ডলারের (৪৭ হাজার টাকা প্রায়) কাজের মাধ্যমে এ যাত্রা শুরু করেন। এখন প্রতিমাসে আয় করেন ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। অপূর্বের রয়েছে নিজস্ব অফিস যেখানে তিনি আরো পাঁচজন সহযোগী ফ্রিল্যান্সার রেখেছেন। তারা অপূর্বের নির্দেশনায় কাজ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় আগে থেকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করেন অনেকে। যার সংখ্যা এখন তিন শ ছাড়িয়েছে৷
ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাবলম্বী হওয়ার পর সবাই সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে জানিয়ে অপূর্ব ইসলাম বলেন, এখন আগের থেকে ভালো ব্যবহার পাই সবার থেকে। বন্ধুরা যারা অবহেলা করতো তারাও এসে আমার কাছে কাজ শিখতে চায়। আমিও তাদের সহায়তা করি।
তরুণসমাজের উদ্দ্যেশ্যে কিছু বলার আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বাজারের বেহাল দশা। মুখস্থভিত্তিক চাকরির বাজারের দিকে না ছুটে আমাদের তরুণদের উচিত স্কিল অর্জন করা। এভাবে অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। আমার অনেক পরিচিত অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার আছেন যারা প্রতিমাসে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আয় করে থাকেন।
এ পথে সবচেয়ে বড় বাধা কী ছিল জানতে চাইলে অপূর্ব বলেন, সবচেয়ে বড় বাধা ছিল ক্লায়েন্টের বিশ্বাস অর্জন করা। হাজার হাজার টাকার জিনিস বাকী দিয়েছি ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। বিনিময়ে সেরাটা পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমি মার্কেটপ্লেস যেমন- ফাইভার, আপওয়ার্কে কাজ করিনা। ফেসবুকেই বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট হায়ার করি। কারণ মার্কেটপ্লেসে আয়ের কিছু অংশ রেখে দেয়া হয়।
সাক্ষাতকার : মো. জামিউল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, উলিপুর পোস্ট।
ভালো লাগলো