এস এম রাফি, চিলমারী প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের চিলমারী মডেল থানায় প্রত্যয়ন নিতে গেলে নামের মিল থাকায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বৈলমনদিয়ারখাতা গ্রামের আব্দুস ছাত্তার আলীর ছেলে মাইদুল ইসলামের সঙ্গে পাশের এলাকার কড়াইবাড়িশাল এলাকার আব্দুল হাকিমের মেয়ে হাছিনা বেগম হাসির বিয়ে হয়। পরে যৌতুক ও নির্যাতনের স্বীকার হয়ে হাসি বেগম থানায় একটি মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে মামলার রায় হয় বলে চিলমারী থানা সূত্রে জানা যায়। এদিকে একই এলাকার আব্দুস সাত্তার এর ছেলে মো. মাঈদুল ইসলাম (৩৫) গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে চিলমারী মডেল থানায় পুলিশি প্রত্যয়ন নিতে গেলে ওয়ারেন্ট ভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে দায়িত্বরত কর্মকর্তা এ এস আই রতন কুমার তাকে আটক করেন।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক জানান, ওয়ারেন্ট ও সাজা প্রাপ্ত আসামি হিসেবে ও একই নাম-ঠিকানা হওয়ায় মাঈদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছিল। পরে তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত করে জানা যায় আটক মাঈদুল ওই মামলার আসামি নন। তাই এলাকার মেম্বারের মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী মাঈদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নেয়ার জন্য থানায় যাই। তারা আমাকে বলে আমি নাকি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাই দুপুর একটার দিকে তারা আমাকে আটক করে একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে। এরপর নাহিদ হাসান নলেজ ভাই মামলার বাদীর তথ্য ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করে এসপিকে দেন। সত্য প্রমাণিত হওয়ার পর তারা আমাকে বিকেল পাঁচটার দিকে ছেড়ে দেয়। এরকম নিয়মের কারণে সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে। এ ধরনের নিয়মের পরিবর্তন এনে জনগণকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করা খুব দরকার।‘
J/