জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত না হলেও জনগণ আমাকে পাশে পাবে : রিপা সরদার

নিজস্ব প্রতিবেদক

উলিপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রিপা সরদার বলেছেন, মানুষের উপকার করতে হলে জনপ্রতিনিধি গায়ে সাইনবোর্ড থাকতে হবে এমন কোনো কথা নাই। এমন পরিবার থেকে আমি এসেছি যে পরিবারের মাধ্যমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মানুষ এখনো সহযোগিতা পায়। বিপদে আপদে স্মরণ করে সেই পরিবারকে। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হই বা না হই জনগণ আমাকে পাশে পাবে।

তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতায়ন সমাজে খুব জরুরি একটি বিষয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমি গত ৫ বছরে বেশ কয়েকটি বাল্যবিবাহ আটকাতে পেরেছি। কর্মহীন নারীদের কর্মের পথ দেখাতে পেরেছি৷ এভাবেই গ্রামীণ নারীরা যাতে শহরের নারীদের মত সাবলম্বী হতে পারে সে বিষয়ে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করব।’

রিপা সরদার বলেন, ‘২০১৯ সালে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমি যতটুকু পেরেছি মানুষের জন্য কাজ করেছি , বিশেষ করে আমরা যারা ভাইস চেয়্যারম্যান পদে আছি এখানে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা যা পাই তা অপ্রতুল বলতে হয়। করোনাকালীন সময়ে আমি যা অনুদান পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ পেয়েছি, তা মানুষের মাঝে পৌছে দিয়েছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়েছি, যে মানুষটির আসলেই প্রয়োজন সে মানুষটিকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই অপ্রতুলতার মাঝেও বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি, যে রাস্তাটা মেরামত না করলেই নয়, মানুষের উপকার হবে, সেটির কাজ আমি করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার সামগ্রী দিয়ে বাচ্চাদের উৎসাহ প্রদান করেছি৷’

ভোটের মাঠে তরুণদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তরুণরাই আমাদের শক্তি। তারা থাকলেই সবকিছু জয় করা সম্ভব বলে মনে করি। তাদের মধ্যে বিবেক এতোটাই প্রখর, তারা ভালোমন্দ বিচার করতে পারেন। তারা জানেন, কোন মানুষটিকে নির্বাচিত করলে জনগণের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারব এবং সমস্যার সমাধান পাব।‘ বিগতবারের মত এবারও হাস মার্কা নিয়ে লড়তে চান এই প্রার্থী।

ভোটের মাঠের প্রতিপক্ষদের কীভাবে দেখছেন এ প্রশ্নের জবাবে এই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘মতি শিউলি অত্যন্ত ভালো মানুষ। নির্বাচনের মাঠে তিনি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। এছাড়া দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মুশতারী রহমান চন্দনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমি চাই তারা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে থাক। হার-জিত থাকবে, এটা মেনে নিয়ে সামনে এগোতে হবে।‘

বিএনপি-জামায়াতের উপজেলা নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা আসছে না কেন? বাধা কোথায়? নির্বাচনে আসুক না, তাদেরতো বাধা নাই। এখন তারা অভিমান করে থাকলেতো হবেনা, যদি তারা ইলেকশনে স্বতঃফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে, তখন তো আর প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হয়না। তারা যে কারচুপির কথা বলে নির্বাচনী খেলার মাঠে যদি তারা না থাকে সেক্ষেত্রে তো এমন হতেই পারে। আমি মনে করি নির্বাচনে না আসা, এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত।’

সাক্ষাতকার : জুবাইর জিহাদী
সম্পাদনা : মো. জামিউল ইসলাম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাতার শুরুতে